Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১

ফের ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, আতঙ্কে সুন্দরবনবাসী

 ‌

The-cyclone-is-coming-again

সৌদীপ ভট্টাচার্য : আম‌পান, ইয়াসের পর ফের ধেয়ে আসছে জাওয়াদ। আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যেই আবার সুপার সাইক্লোনের সতর্কতা জারী করেছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এই ঝড় ওড়িশা উপকূল থেকে অভিমুখ ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার ফলে রাজ্যে প্রবল বর্ষণের আশংকা। সতর্কতা জারি করা হয়েছে উপকূলবর্তী উত্তর ২৪ পরগনা সহ সাতটি জেলায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ সহ দশটি ব্লকের মানুষ এখন নতুন করে  বিপর্যয়ের দিন গুনছেন। আন্দামানে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের ফলে বাংলার বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি, সেইসঙ্গে প্রবল ঝড় বইতে পারে বলে সর্তকতা জারি হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে।


উওর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমা শাসকের দপ্তরে মূল পয়েন্ট করা হয়েছে। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সে থাকবেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, বসিরহাটের মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জি, বসিরহাট মহকুমার ১০ টি ব্লকের বিডিও এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানেরা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখবেন।ইতিমধ্যে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইক প্রচার শুরু করে দেওয়া হয়েছে। একদিকে নদীর পাড়ের মানুষদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, অন্যদিকে উঁচু জায়গা, ত্রাণশিবির, স্কুল বাড়িতে যাওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। সব মিলিয়ে নতুন করে সুন্দরবনের নদী পাড়ের মানুষরা আতঙ্কে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। 


বসিরহাট মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জি জানিয়েছেন, '‌ইতিমধ্যে এনডিআরএফ দলকে সন্দেশখালিতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, করোনা বিধি মেনে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে ত্রাণশিবির এবং স্কুল বাড়িতে রাখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি মাইক প্রচার চলছে। পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আমাদের এই দপ্তর থেকে প্রশাসনের সব দপ্তরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি যেসব দুর্বল নদীবাঁধ রয়েছে সেগুলো সেচ দপ্তর পরিদর্শন করছে। দুর্বল বাঁধের আগাম মেরামতের কাজ চলছে। দিনরাত প্রশাসন নজর রেখেছে।


কিন্তু প্রশ্ন জাগছে সুন্দরবনবাসীর, একের পরে এক সাইক্লোন আছড়ে পড়ছে সুন্দরবন এলাকায়। বারবার গ্রামের মানুষেরা দাবি জানিয়েছেন, নদীর পাড়গুলি কংক্রিট করে দেওয়ার জন্য। এই নিয়ে সুন্দরবন মানুষ অনেক আন্দোলন, অবরোধ, বিক্ষোভ দেখিয়েছেন নিজের ও পরিবারের জীবন রক্ষা করতে। কিন্তু একটার পর একটা সাইক্লোন আসছে, আর যাচ্ছে। কিন্তু নদী বাঁধের দিকে নজর নেই প্রশাসনের। শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েই চলেছে সরকার। সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবে না। নতুন করে আরও ক্ষয়ক্ষতি হলে তাঁরা কি করবেন, ভেবেই দিশেহারা সুন্দরবনবাসী।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন