সমকালীন প্রতিবেদন : অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভোটগ্রহন বিষয়ে বিজেপির দ্বিতীয়বারের আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। সেই কারণে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ ব্লকের চৌবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আজ ফের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই পঞ্চায়েতের অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটদানের আয়োজন করা হয়েছে।
১৫ আসন বিশিষ্ট চৌবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন সদস্য ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। বাকি ১৪ জনের মধ্যে এতো দিন বিজেপির ৮ জন এবং তৃণমূলের ৬ জন সদস্য ছিলেন। প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার সামলাচ্ছিলেন বিজেপির নমিতা রায় ঘরামি। সম্প্রতি বিজেপি থেকে দু'জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূল সদস্যরা।
এই অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ৩১ আগস্ট ভোট গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে বেশি ভোট পরে। বিজেপির কোনও সদস্য এই ভোটাভুটি পর্বে অংশগ্রহন করেন নি। এইদিনই হাইকোর্ট থেকে বিজেপি একটি বিশেষ নির্দেশিকা উপস্থাপন করে। যার ফলে সেই ভোটাভুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সেখানে পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণ দেখিয়ে হাইকোর্ট সেই ভোটাভুটি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়।
এরপর তৃণমূলের পক্ষ থেকে নতুন করে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। বিজেপি ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বুধবার বিচারক সবকিছু দেখে জানান, এবারে আবেদন সঠিকভাবে হয়েছে। এবারে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট করতে সমস্যা নেই। ফলে বিজেপির আবেদন এবারে আর গ্রাহ্য হয়নি। এমনকি আবেদনকারী বিজেপি নেতাদের এক প্রকার ভৎসনাই করেন বিচারক।
এরপরই ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে আজ অনাস্থা প্রস্তাবের ওপরে ভোটাভুটির উদয়োগ শুরু হয়েছে চৌবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। আজ দুপুর ১২ টা থেকে এই ভোটগ্রহন পর্ব শুরু হবে। আগেরবারের অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটগ্রহনকে কেন্দ্র করে যেহেতু অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেইজন্য আজ পুলিশি ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। এবারেও এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন