সমকালীন প্রতিবেদন : ট্রফির নিরিখে ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয় তাঁর ক্যাপ্টেন্সিতে। এরপর ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জয়। এশিয়ার একমাত্র ক্যাপ্টেন হিসেবে আইসিসির এই তিনটি ট্রফিই জিতেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেটকে অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ২০২০ সালে।
ক্রিকেট জীবনের দীর্ঘ সাফল্যের কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এবার আইসিসি হল অব ফেমে অন্তর্ভূক্ত করা হল মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। সাধারণত ক্যাপ্টেন কুলকে খুব বেশি আবেগপ্রবণ হতে দেখা যায় না। কিন্তু আইসিসি হল অফ ফেমে স্থান পেয়ে আপ্লুত মাহি। সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে একাসনে বসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন তিনি।
সোমবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে আইসিসি-র ‘হল অফ ফেম’-এ স্থান পেয়েছেন ধোনি। কেবল বিশ্বজয়ী ভারত অধিনায়ক নন, এদিন হল অফ ফেমে আরও ৬ জনকে স্থান দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ এবং দুই মহিলা ক্রিকেটার। তালিকায় নাম রয়েছে ম্যাথু হেডেন, গ্রেম স্মিথ, হাসিম আমলা, ড্যানিয়েল ভেত্তোরি, সানা মীর এবং সারা টেলরের।
ধোনিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চাপের মুখেও বরফের মতো শান্ত। অতুলনীয় বুদ্ধি। কিন্তু স্বল্প ওভারের ম্যাচে ঝড় তুলতে ওস্তাদ। অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফিনিশার, অধিনায়ক এবং উইকেট কিপার।’ বিশেষ সম্মান পেলেও লন্ডনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না ধোনি।
পরে আইসিসির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন, "আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা পাওয়াটা অত্যন্ত সম্মানের। সর্বপ্রজন্মের, সবদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সকে স্বীকৃতি দেয় এই হল অফ ফেম। সর্বকালের সেরা এমন কিংবদন্তিদের নামের সঙ্গে আমার নামটাও স্মরণীয় হয়ে থাকবে, সেটা ভাবতেই অসাধারণ লাগছে। সারাজীবন এই সম্মানটা মনে রাখব।"
একটা সময় ভারতের দীর্ঘ আইসিসি ট্রফির খরা চলছিল। ১৯৮৩ সালে প্রথমবার ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। এই ফরম্যাটে অপেক্ষা মেটান ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনিই। ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধোনির নেতৃত্বে তরুণ দল গড়া হয়। চ্যাম্পিয়নও হয় সেই টিম।
২০১৩ সালে ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ফের একটা দীর্ঘ অপেক্ষা চলে। বার বার ট্রফির সামনে থেকে ফিরছিল ভারতীয় দল। এমনকি ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপেও ফাইনালে হার। অবশেষে ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে অপেক্ষা থামে। এরপর এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। এই দুটো ট্রফিই রোহিত শর্মার নেতৃত্বে।









কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন