সমকালীন প্রতিবেদন : অস্ত্র হাতে বনগাঁর মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় ধৃত হুমায়ুন কবির এবং বনগাঁ থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত ১০ জন হামলাকারীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। দুই ক্ষেত্রেই বিচারক ধৃতদেরকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার সকালে বর্ধমানের কালনার বাড়িতে নিজের বাবা মাকে খুন করে পালিয়ে বনগাঁর মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছিল হুমায়ুন কবির। আর এদিন সন্ধ্যাতেই বনগাঁর মাদ্রাসায় আলাদা একটি ঘটনায় মাদ্রাসার আবাসিকদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় হুমায়ুন।
এই দুটি ঘটনার আলাদা আলাদা তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। হুমায়ুন বনগাঁয় ধরা পড়ার খবর জানতে পেরে বর্ধমানে জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তে বুধবার রাতেই বনগাঁয় এসে পৌঁছায় কালনা থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল। জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তের স্বার্থে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে হুমায়ুনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় কালনা থানার পুলিশ।
মাদ্রাসায় হামলা চালানোর ঘটনায় বনগাঁ থানার পুলিশ হুমায়ুনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে। এদিন হুমায়ুনকে বনগাঁ আদালতে তোলা হলে, তাকে তিন দিনের জন্য বনগাঁ থানার পুলিশের হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে যে, কেন সে বর্ধমান থেকে বনগাঁর মাদ্রাসায় এসে এই হামলার ঘটনা ঘটালো।
অন্যদিকে, বনগাঁ থানায় হামলার ঘটনায় ধৃত ১০ জনের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা সহ একাধিক অজামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এদিন তাদেরকেও বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদেরকে ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন