সমকালীন প্রতিবেদন : প্রিওয়েডিং পর্ব পেরিয়ে এবার সময় শুভ পরিণয়ের পথে। আগামী ১২ জুলাই চার হাত এক হতে চলেছে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের। আর সেই বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। কার্ড তো নয়, যা দেখলে মনে হবে গোটা একটা মন্দির। তবে ছোট ছেলের বিয়ের আগে প্রিওয়েডিং উদযাপনের অংশ হিসাবে সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর যুবক–যুবতীদের গণবিবাহের আয়োজন করলেন আম্বানি দম্পতি।
ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ে উপলক্ষ্যে দুহাত ভরে খরচ করছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি বাবা মুকেশ আম্বানি। প্রথমে দুই পর্বে জামনগরে এবং ইতালিতে প্রিওয়েডিং কাটিয়ে এবার পালা বিয়ের। আর সেই মর্মে আয়োজনও শুরু হয়ে গিয়েছে। নতুন এই দম্পতি নতুন জীবনে প্রবেশ করার আগে আম্বানি পরিবার থেকে দেওয়া হল গণবিবাহ।
বিভিন্ন সময়ে নানারকম সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেখা গিয়েছে আম্বানি পরিবারকে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। এবার ছোটছেলের বিয়ের আগেই সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর যুবক–যুবতীদের গণবিবাহের আয়োজন করা হল। এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হল ২ জুলাই। আর এই বিবাহ আসর বসলো পালগড়ের স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে।
উল্লেখ্য, ছোট ছেলে অন্তত আম্বানির বিয়ে উপলক্ষ্যে তৈরি করা নিমন্ত্রণপত্র দিয়ে প্রথম নিমন্ত্রণ করা হয় মহাদেবকে। মা নীতা আম্বানি কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরে গিয়ে বাবা ভোলেনাথকে প্রথম কার্ড নিবেদন করলেন। এরপর শুরু হয় অতিথিদের নিমন্ত্রণের পালা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে এই বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়ে গিয়েছে।
নতুনভাবে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির দর্শনের পর নীতা আম্বানি জানান, ‘প্রায় ১০ বছর পর এখানে এলাম। এখানকার উন্নতি দেখে বেশ ভালো লাগছে। সেইসঙ্গে চারপাশের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে, নোমো ঘাট, সৌরশক্তির ব্যবস্থা, এমনকি কাশী বিশ্বনাথ প্রাঙ্গণ, সব দেখেই বেশ ভালো লাগছে।’
কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে অনন্ত আম্বানির বিয়ের কার্ড মহাদেবকে নিবেদন করতে গিয়ে, বিয়ের কিছুটা শপিংও সেরে নিয়েছেন নীতা আম্বানি। সেখানে বেনারসে গিয়ে বেনারসি শাড়িও কিনেছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, প্রসিদ্ধ দোকানে গিয়ে বেনারসের বিখ্যাত চাটও খেয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রীতিমতো জাকজমকপূর্ণভাবে হিন্দু রীতি মেনেই আগামী ১২ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দীর্ঘদিনের বন্ধু অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্ট। এরপর ১৩ জুলাই রয়েছে তাঁদের শুভ আশির্বাদ পর্ব। তারপর ১৪ জুলাই থাকছে মঙ্গল উৎসব, যাকে বলে ওয়েডিং রিসেপশন। অর্থাৎ টানা তিনদিন ধরে চলবে তাঁদের এই বিয়ের পর্ব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন