Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কৃষিকাজে ড্রোনের ব্যবহার দেখানো হল বনগাঁয়

 

Drones-in-agriculture

সমকালীন প্রতিবেদন : কৃষিকাজে ড্রোনের ব্যবহার কতটা উপযোগী, তা হাতেকলমে দেখানো হল কৃষকদের। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে মহকুমার তিন ব্লকের আগ্রহী কৃষকদের নিয়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল সাতবেড়িয়া এলাকায়।

যত দিন যাচ্ছে, জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তার সুফল গ্রহণ করা হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। আর তাই হাতে বা স্প্রে মেশিন নয়, জমিতে কীটনাশক ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোনকে।

একজন কৃষক হাতে বা স্প্রে মেশিনের সাহায্য তাঁর জমিতে যতটা সময় ধরে এবং যে পরিমাণ কীটনাশক ছড়িয়ে দিতে সক্ষম, সেখানে একটি ড্রোনের সাহায্যে অনেকটা কম সময়ে এবং তুলনায় কম কীটনাশক, জল ব্যবহার করে সেই কাজ করে উঠতে সক্ষম।

আর তাই সময় এবং অর্থ বাঁচাতে কৃষিকাজে ড্রোনের ব্যবহারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এব্যাপারে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে এগিয়ে এসেছে সরকারও। বাস্তবে একটি ড্রোনের দাম বেশ কয়েক লক্ষ টাকা। ফলে একজন দরিদ্র কৃষকের পক্ষে সে ড্রোন কেন সম্ভব নয়।

এই পরিস্থিতিতে কৃষকেরা যাতে তাদের জমিতে ড্রোনের ব্যবহার করতে পারেন, তারজন্য ড্রোন কেনার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার মোটা পরিমানে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর রাজ্য সরকার ড্রোন কেনার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে।

অর্থের দিক থেকে দেখতে গেলে একেকটি ড্রোন কেনার ক্ষেত্রে এবছর কৃষকেরা ৩ লক্ষ টাকা ভর্তুকি পাবেন। এক্ষেত্রে একটি ড্রোন একজন বা একাধিকজন কৃষক মিলিতভাবে কিনতে পারবেন। পাশাপাশি, ড্রোন ভাড়া নিয়েও কৃষিকাজে ব্যবহার করা যাবে।

কৃষি দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, কৃষিকাজে ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে এককালীন খরচ একটু বেশি হলেও একবার একটি ড্রোন কিনে নিতে পারলে একদিকে যেমন সময়ের সাশ্রয় হবে, তেমনই কৃষিক্ষেত্রে খরচ তুলনায় কমও হবে।

কৃষিক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার কতটা উপযোগী এবং তা কিভাবে ব্যবহার করা সম্ভব, রাজ্য সরকার এব্যাপারে কিভাবে কৃষকদেরকে সহযোগিতা করছে, তার বিস্তারিত বিষয়টি এদিন আগ্রহী কৃষকদের মধ্যে জানানো এবং দেখানে হয়। ড্রোনের ব্যবহার কৃষকদের উপকারে আসবে বলে মনে করছেন এদিন উপস্থিত কৃষকেরা।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন