সমকালীন প্রতিবেদন : ঘুমের মধ্যেই বাড়ির তালা ভেঙে পর পর ৩ টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটলো। এবারে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বনগাঁ থানার কুন্দিপুর গ্রামে। একদিন আগেই ঠিক একই কায়দায় গোপালনগরের মহৎপুর গ্রামে পর পর ৭ টি গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এদিন রাত ২ টো নাগাদ কন্দিপুর দাসপাড়ায় তপন বিশ্বাস, মন্টু দাস এবং দীপক দাসের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। উজ্জল সরকার নামে আরও এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরির চেষ্টা করা হলেও বাড়ির লোকেরা ঘুম থেকে জেগে ওঠায় দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
এদিন তপন বিশ্বাসের বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন পরিবারের লোকেরা। তাঁর ছেলে সুজিত বিশ্বাস বলেন, 'বন্ধ দরজা খুলে চোরেরা ঘরের ভেতরে ঢুকে দুটি মোবাইল, আলমারিতে রাখা জমি বিক্রি করার ৪০ হাজার টাকা এবং সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়৷'
এতোকিছু ঘটে গেলেও বাড়ির লোকেরা কিছুই টের পান নি। আর তাতেই বাড়ির লোকেদের ধারনা, চুরি করার আগে দুষ্কৃতীরা সম্ভবত কিছু স্প্রে করেছিল। যার কারণে বাড়ির লোকেদের ঘুম ভাঙে নি। সকালে প্রতিবেশীদের চিৎকারে তাঁদের ঘুম ভাঙে।
দীপক দাস নামে আরও একজনের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। তাঁর স্ত্রী জানান, তালা ভেঙে চোরেরা ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ ১৫ হাজার টাকা এবং সোনা কানের দুল সহ একাধিক সোনার জিনিস নিয়ে পালিয়েছে৷ অথচ তাঁরা কিছুই টের পান নি।
গোপালনগরের মহৎপুরের চুরির ঘটনার সঙ্গে বনগাঁর কুন্দিপুরের চুরির ঘটনার অনেকটাই মিল খুঁজে পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। আর তাই তাদের ধারণা, এই দুই এলাকার চুরির ঘটনার সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগ থাকতে পারে। সব ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন