Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে শকুনের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা

 ‌

Trying-to-increase-the-number-of-vultures

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌প্রাকৃতিক নানা কারণে শকুনের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এর বড় ধরনের প্রভাব পরতে পারে। এমনই আশঙ্কা করে এব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করলো রাজ্য বনদপ্তর।

রাজ্যের উত্তরবঙ্গের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়াতে শকুন প্রজনন কেন্দ্র রয়েছে। সম্প্রতি সেখান থেকে হোয়াইট ব্যাকড ভালচার প্রজাতির দশ শকুনকে খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়া হল। এখন থেকে তারা মুক্তির আনন্দে খোলা আকাশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ইচ্ছেমতো জীবনধারণ করে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করবে।

বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রোগাক্রান্ত গবাদি পশুদের রোগ মুক্তির জন্য নানাধরণের ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। আর তারই পরোক্ষ প্রভাব পরছে প্রকৃতিতে। ওই গবাদি পশু যখন মারা যাচ্ছে, তার মাংশ খেয়ে সংক্রমিত হচ্ছে শকুনেরা। শকুনের সংখ্যা কমে যাওয়ার এটি একটি বড় কারণ।

এমন পরিস্থিতিতে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে শকুনদের জন্য কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এই কেন্দ্রে ডিম থেকে শকুনদের বাচ্চা ফোটানো হয়। ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সের মধ্যে এই শকুনেরা নিজেরাই আকাশে উড়তে পারে।

এদিন এই কেন্দ্রে রাখা ২ বছর বয়সের ১০ টি শকুনকে খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। আকাশে ছাড়ার আগে তাদের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা বনদপ্তরের নজরদারিতে থাকতে পারে। রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এর আগেও দু দফায় মোট ১৪ টি শকুনকে খোলা আকাশে ছাড়া হয়েছিল। 







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন