শম্পা গুপ্ত : স্কুলের ভবন থাকলেও নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। ঘরের অভাবে মিড ডে মিলের রান্না অন্য বাড়ি থেকে করে আনতে হয়। এমনই দৈন্য দশা একটি সরকারি সাহাস্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ফলে গ্রামের একমাত্র বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে।
আর এমনই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী তারাপদ মাহাতো। স্কুলের উন্নয়নে দান করলেন আড়াই ডেসিমেল জমি। ৯৫ বছর বয়সের তারাপদবাবুর সীমিত সামর্থের মধ্যে খুদে পড়ুয়াদের জন্য এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ।
পুরুলিয়া জেলার প্রত্যন্ত সাঁওতালডি থানার চকবাইদ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমানে বেহাল দশা। এই গ্রামে বড় মাপের একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টির দিকে নজর নেই সরকারের। ফলে দিন দিন করুণ হয়ে পরছে বিদ্যালয়ের অবস্থা।
গ্রামবাসীরা জানালেন, এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনটি কক্ষ রয়েছে। অথচ শৌচালয়, মিড ডে মিল রান্নার ঘর, পানীয় জলের ভালো ব্যবস্থা নেই। পড়ুয়াদের মিড ডে মিল রান্না করার জন্য পাশের এক বাড়িতে যেতে হয়। ফলে সমস্যায় পরতে হয়।
গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে এগিয়ে আসেন তারাপদ মাহাতো। নিজের সামান্য জমি থেকে আড়াই ডেসিমেল জমি দান করলেন। তাঁর আশা, এই জমিতে কিছুটা হলেও পরিকাঠামো তৈরি হবে। তাতে স্কুলের পড়ুয়াদের উপকারে লাগবে।
গ্রামের এক বর্ষীয়ান বাসিন্দা বলরাম মাহাতো জানালেন, সাঁওতালডি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হওয়ায় সময় গ্রামের অধিকাংশ জমিই দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে চকবাইদ গ্রামে বাস্তু জমি ছাড়া আর তেমন জমি নেই। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে তারাপদবাবুর জমি দান নজির সৃষ্টি করলো।
এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শঙ্কর মন্ডল জানান, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৯৪ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো তেমন ভালো নেই। নতুন পাওয়া জমিতে যাতে পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়, তারজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তিনি যোগাযোগ করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন