Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২

চন্দনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই

 ‌

FIR-against-Chandan

সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার '‌রঞ্জন' ওরফে চন্দন মন্ডল এখন কোথায় ?‌ এই মুহূর্তে এটাই বড় প্রশ্ন। যদিও এব্যাপারে মুখে কুলুপ এটেছেন চন্দনের পরিবারের সদস্যরা। কোনও মন্তব্য করতে নারাজ এলাকার বাসিন্দারাও।

বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বাগদার গ্রাম মামাভাগিনা। আর এই গ্রামেই বসবাস এই মূহূর্তে রাজ্যে অন্যতম চর্চিত চরিত্র চন্দন মন্ডলের। পেশায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে‌র প্যারা টিচার চন্দন মন্ডলের শিক্ষা দপ্তরে যেমন গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অসামান্য ক্ষমতার কথা দীর্ঘদিন ধরেই অনেকের জানা। বিষয়টি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট। 

নির্দিষ্ট পরিমান টাকা নিয়ে তার কাছে হাজির হতে পারলে চাকরি একপ্রকার পাকা। একথা যে অবাস্তব নয়, তা ভালোভাবেই জানেন এলাকার মানুষ। কারণ, বাগদা সহ গোটা বনগাঁ মহকুমা এমনকি উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া সহ অন্যান্য জেলায় তার হাত ধরে এমন চাকরি পাওয়ার ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে।

চাকরি পাওয়ার জন্য নূনতম যতটুকু যোগ্যতা থাকার প্রয়োজন, ততটুকুও নেই, এমন অনেকেই চন্দনের বদান্যতায় বহাল তবিয়তে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে চাকরি করছেন। একই বাড়ির একাধিক সদস্য চাকরি করছেন, এমন নজির বাগদা অঞ্চলে একাধিক রয়েছে বলে এলাকার মানুষেরা জানালেন। যদিও প্রকাশ্যে এব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চান না।

চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধহস্ত এই চন্দনের কাছে তাই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে হাজির হতেন। একসময় প্রতিদিন সকালে তার বাড়িতে ভিড় করতে দেখা গেছে বহু মানুষকে। এইভাবে তিনি যে কত মানুষকে মোটা অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন, তার সঠিক সংখ্যা বলা মু‌শকিল।

প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের প্রকাশ করা '‌রঞ্জন' ভিডিও বার্তাটির পর থেকেই বেপাত্তা চন্দন মন্ডল। তার বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ করতেই পরিবারের লোকেরা জানালেন, তিনি কোথায় আছেন, তা তারা জানেন না। এর বেশি তারা মুখ খুলতে রাজী নন। অনেকেই মনে করছেন, যেহেতু পাশেই বাংলাদেশ, তাই তিনি বাংলাদেশেও পালিয়ে যেতে পারেন।

এদিকে, চন্দন মন্ডলের বিষয়ে বুধবার হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য ভেসে উঠছে। যারা যারা চন্দনের হাত ধরে অর্থের বিনিময়ে অসৎ পথে চাকরি পেয়েছেন, তারা এখন যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন। আর এব্যাপারেই সোস্যাল মিডিয়ায় মজার সুরে পোষ্ট করা হচ্ছে, 'যাদের কপালে চন্দনের ফোঁটা পরেছে, তাদের কি হবে ?' ‌‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন