Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২

কলেজে নিয়োগে‌ও অনিয়মের অভিযোগ ‌তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি

CBI-demands-investigation

সমকালীন প্রতিবেদন : স্কুল সার্ভিস কমিশনের পর এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠলো। আর তাই এক্ষেত্রেও সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবার এব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ এবং দাবি তুলে ধরলেন ‘২০১৮ সিএসসি এমপ্যানেল্ড ক্যান্ডিডেটস অর্গানাইজেশন’।

প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। একের পর এক সামনে আসছে ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ। হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন চাকরিরত শিক্ষক–শিক্ষিকার চাকরি চলে গেছে।

আর এমনই পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখছেন কলেজে শিক্ষকতার জন্য যোগ্য অথচ বঞ্চিত প্রার্থীরা। তাঁরা এবার কলেজে নিয়োগের ক্ষেত্রেও সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন। এব্যাপারে অঙ্ক বিষয়ের এক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, অঙ্ক এবং সাঁওতালি বিষয়ে মেধাতালিকায় নাম নেই, এমন প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দিয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। 

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে নিজেদের দাবির সমর্থনে নথি সহযোগে আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, কম যোগ্যতাসম্পন্ন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী, প্রভাবশালী ব্যক্তির আত্মীয়দের কলেজে শিক্ষকতার নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। অন্য আর এক বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীর দাবি, ইন্টারভিউতে প্রায় পূর্ণ নম্বর দিয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

এই সংক্রান্ত ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে ক্লিক করুন—

তাঁদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের প্রাপ্ত নম্বর, তারা কোন কলেজে চাকরি পেয়েছেন, তাদের যোগ্যতা ইত্যাদি বিষয়গুলি কলেজ সার্ভিস কমিশন প্রকাশ করেনি। ২০১৮ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় মেধা তালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের আরও বক্তব্য, অ্যাকাডেমিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা থাকলেও নিয়োগের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয় নি। বয়সের ঊর্দ্ধসীমা পার হয়ে যাওয়া প্রার্থীকেও চাকরি দেওয়া হয়েছে।

তাঁদের দাবি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া প্রিয়াঙ্কা কুণ্ডু নামে এক চাকরিপ্রার্থী মেধাতালিকায় অর্ন্তভূক্ত হওয়া সত্ত্বেও চাকরি পাননি। অথচ একটি কলেজের পরিচালন কমিটির সর্বোচ্চ পদে থাকা তৃণমূলের এক বিধায়কের জামাই সেই কলেজেই চাকরি পেয়েছেন। আর এক তৃণমূল নেতার ভাইপো অসংরক্ষিত কোটার প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও তাকে সংরক্ষিত পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। 

২০১৮ সালে‌ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। পাশ করেন ৩৩০০ জন। তাঁদের মধ্যে থেকে যারা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন, এমন অনেক যোগ্য প্রার্থীই নিয়োগপত্র পাওয়া থেকে বাদ গেছেন। 

আর তাই এদিন তাঁরা দাবি তোলেন, ২০১৮ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার যথাযথ তদন্ত করতে সিবিআইকে দায়িত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে এই দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের প্রত্যেকের শাস্তির ব্যবস্থা এবং কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন