শম্পা গুপ্ত : গ্রামীন চিকিৎসকদের সরকারি স্বীকৃতি দিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা প্রথম। শনিবার পুরুলিয়া জেলা সদরের রবীন্দ্রভবনে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি সেমিনারের মাধ্যমে এই স্বীকৃতি দেওয়া হল। এই ঘটনায় খুশি জেলার গ্রামীন চিকিৎসকেরা।
পুরুলিয়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকার জেলায় সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষ করে দূরবর্তী গ্রামীন এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় অন্যতম ভরসা গ্রামীন চিকিৎসকেরা। খাতায় কলমে সরকারি স্বীকৃতি না থাকলেও গ্রামে তাঁরাই দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন।
করোনা পরিস্থিতির সময়ে যখন রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীরা নাজেহাল হয়ে পরেছিলেন, তখন জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে এই গ্রামীন চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা অনেকটাই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন। অনেক উপকৃত হয়েছিলেন গ্রামীন অঞ্চলের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এই চিকিৎসকদের প্ৰশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মীর স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেইমতো পুরুলিয়া প্রগ্রেসিভ রুরাল মেডিকেল প্র্যাকটিশনার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অর্ন্তগত জেলার প্রায় একুশশো গ্রামীন চিকিৎককে এক ছাতার নিচে আনা হয়।
এদিন এই সংগঠনের পরিচালনায় রবীন্দ্রভবনে জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগ এই চিকিৎসকদের ইনফরমাল হেল্থ ওয়ার্কার প্রভাইডার নাম দিয়ে তাঁদের সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হল। এব্যাপারে তাঁদের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হল। আগামী দিনে তাঁদের সরকারিভাবে প্ৰশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা জানান।
এদিন এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃণালকান্তি দে, জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রুগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তিরাম মাহাতো, পুরুলিয়া পুরসভার প্রধান নবেন্দু মাহালি সহ অন্যান্যরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন