সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন প্রধান তথা তৃণমূলের প্রাক্তন শহর সভাপতি শঙ্কর আঢ্যর মেয়ে এবং ভাই কংগ্রেসে যোগ দিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা দুজন পুরসভা নির্বাচনে বনগাঁর দুটি ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থীও হলেন। এই দুজনকে দলে যোগদান করিয়ে বনগাঁর রাজনীতিতে বড় চমক দিল কংগ্রেস।
বনগাঁ পুরসভা নির্বাচনে এবারে শঙ্কর আঢ্যকে তৃণমূল প্রার্থী করছে কি না, তা নিয়ে বনগাঁ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ছিল। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর আশঙ্কাই সত্যি হল। শঙ্কর আঢ্যকে প্রার্থী না করে তাঁর স্ত্রী তথা পুরসভার প্রাক্তন প্রধান জ্যোৎস্না আঢ্যকে প্রার্থী করা হয়েছে। তবে তাঁকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়।
আর জ্যোৎস্না আঢ্য সে ওয়ার্ডের বাসিন্দা অর্থাৎ যে ওয়ার্ড থেকে এতোদিন তিনি জয়লাভ করে আসছিলেন, সেই ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয় প্রীতিকণা মন্ডল নামে একজনকে। আর তাঁকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তৃণমূলের একাংশ। আর সেখান থেকেই বিরোধের সূচনা।
এই অবস্থায় রাজনৈতিক চমক অপেক্ষা করছিল বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে। বুধবার কংগ্রেসে যোগদানের পাশাপাশি কংগ্রেসের টিকিটে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন শঙ্কর আঢ্যর মেয়ে ঋতুপর্ণা এবং ভাই মলয়। ঋতুপর্ণা ১৭ নম্বরে এবং মলয় ৩ নম্বরের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে এই মনোনয়ন জমা দিলেন।
এব্যাপারে ঋতুপর্ণা আঢ্য জানান, 'আমার দাদু কংগ্রেস করতেন। তাই কংগ্রেসে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিলাম। তৃণমূল প্রার্থীকে চিনি না। আর জেতার ব্যাপারে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।' অন্যদিকে, মলয় আঢ্য জানান, 'বাবা হারাধন আঢ্য কংগ্রেস করতেন। সেই ঘরানা ধরেই কংগ্রেসে যোগ দিলাম। জিতবো নিশ্চিত।'
বনগাঁ শহর কংগ্রেস সভাপতি সুনীল রায় জানান, 'বুধবার সকালেই ঋতুপর্ণা এবং মলয় আঢ্য কংগ্রেসে যোগদান করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। সেই অনুযায়ী কোর কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় তাঁদেরকে দলে নিতে। পাশাপাশি তাঁদেরকে নির্বাচনে টিকিট দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন